• সকাল ১০:০৬ মিনিট শনিবার
  • ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
আজ থেকে কালাম আমার পরিবারের একজন সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা বিরুর বংশ উচ্ছেদের হুমকির ঘটনায় বাবুল ওমরকে শোকজ ঘোড়াকে জয়ী করতে নির্বাচনী মাঠে কাঁচপুরের খাঁন পরিবার ঘোড়ার পক্ষে যু্বলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেনের উঠান বৈঠক উপজেলা আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারক সোহাগ রনি? সোনারগাঁয়ে গত ৯ দিন ধরে দুই সহোদর নিখোঁজ সোনারগাঁয়ে দুই কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, ১কারবারি গ্রেপ্তার আমান খাঁনের উদ্যোগে কাঁচপুরে কালামের নির্বাচনী প্রচারনা সভা আড়াইহাজারে নির্বাচনী আচারন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ হুইপ বাবুর বিরুদ্ধে আড়াইহাজারে নির্বাচনী আচারন বিধি লঙ্ঘন হুইপ বাবুর বিরুদ্ধে বন্দরের নতুন চেয়ারম্যান মাকসুদ চেয়ারম্যান নারায়ণগঞ্জ পল­ী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন সোনারগাঁয়ে তিনদিন ব্যাপী ফায়ার সার্ভিসেরর স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষন সোনারগাঁয়ে আস্থা ফিডে সেনা প্রধান সোনারগাঁয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ সোনারগাঁও পৌরসভায় কালামের কেন্দ্র কমিটির সভা সোনারগাঁয়ে বিশ বছর পর বাকপ্রতিবন্ধী ভাইকে ফিরে পেলেন তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান কালামকে বিজয়ী করেতে জামপুরে আলোচনা সভা সোনারগাঁয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন ৫ প্রার্থী সোনারগাঁয়ে ভবন ঘেঁষে মাটি খনন, ভেঙ্গে পড়লো পাশের স্থাপনা
রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রামের প্রথম আহ্বায়কের স্মৃতি রক্ষার দাবী সোনারগাঁবাসীর

রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রামের প্রথম আহ্বায়কের স্মৃতি রক্ষার দাবী সোনারগাঁবাসীর

Logo


নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:

রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রথম আহ্বায়ক ভাষা সৈনিক এ এস এম নূরুল হকের নামে সোনারগাঁ উপজেলার তলতলা – বারদী সড়কটি নামকরনের দাবী জানিয়েছেন তার স্বজন ও এলাকাবাসী। এছাড়া তার কবর ও পৈত্রিক বাড়িটি সংরক্ষনের দাবী জানান তারা। নূরুল হক ১৯২৩ সালের ১ মে সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের কূলঘেষা গোবিন্দপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম নূরুল হক ভূঁইয়া ছিলেন রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রথম আহ্বায়ক। এছাড়া তিনি তমদ্দুন মজলিশের প্রতিষ্ঠাতা সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন।

নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ছায়াসুনিবির গোবিন্দপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় নূরুল হক ভূঁইয়ার সত্তরোর্ধ দুই ভাতিজা জাহিদুল আলম মাহমুদ ভূঁইয়া ও আবেদ হোসেন ভূঁইয়ার সাথে।

তারা বলেন, নূরুল হক চাচা ছিলেন মানব দরদী মানুষ। তিনি ঢাকা থেকে যখন গ্রামে আসতেন তখন গ্রামের মানুষকে নানা ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করতেন। যাতায়াতের খরচ বাঁচিয়ে তা গরিব দুঃখিদের মধ্যে দান করতেন।

আমরা তখন ছোট ছিলাম,আমাদের চাচা বাংলা ভাষার জন্য বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন।
তারা বলেন, আমাদের চাচা তার অবদানের স্বীকৃতি আজো পায়নি। তাকে মরনোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করার জন্য সরকারের কাছে বিনীত ভাবে আবেদন জানাচ্ছি।

ভাষা সৈনিক নূরুল হকের নাতি বায়জিদ হোসেন ভূঁইয়া জানান, আমার দাদা ছিলেন একজন দেশ প্রেমিক মানুষ। জীবনের শেষ সময়ের আমি দাদার সান্নিধ্যে ছিলাম। বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠায় দাদার অবদানের কথা নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানে না। তাই সোনারগাঁ উপজেলার তলতলা – বারদী সড়কটি দাদার নামে ভাষা সৈনিক নূরুল হক সড়ক নামকরনের জোড় দাবী জানাচ্ছি। তিনি নূরুল হক ভূঁইয়ার পৈত্রিক বাড়ি ও বাড়ি সংলগ্ন কবরটি সংরক্ষন করার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।

তিনি আরো বলেন, নূরুল হক ভূঁইয়া ১৯৪৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে বিএসসি (অনার্স) এবং ১৯৪৫ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অধ্যাপক হিসাবে অবসর গ্রহন করেন। দেশের বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণায় তিনি অসাধারণ সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। পাটের অগ্নিরোধক মিশ্রন এবং দ্রুত গতিবেগ সম্পন্নœ বিমান ও অন্যান্য ইঞ্জিনের প্রয়োগযোগ্য ‘সলিড লুব্রিকেন্ট’ জাতীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃৃতি লাভ করেন। ১৯৯৮ সালের ২ এপ্রিল দুপুর ২ টায় ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের সাবেক সভাপতি লেখক ও গবেষক শামসুদ্দোহা চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রথম আহ্বায়ক নূরুল হক ভূঁইয়া সোনারগাঁয়ের সন্তান এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। তার অবদানের কথা নতুন প্রজন্মকে জানাতে তার স্মৃতি ধরে রাখা খুবই জরুরি। সুতরাং তার নামে সড়কের নামকরনসহ তার পৈত্রিক বাড়ি ও সমাধি সংরক্ষনের জন্য কর্তৃপক্ষকে এখনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। সোনারগাঁওয়ের কৃতি সন্তান, ড. নূরুল হক ভূঁইয়া মারা যাওয়ার ১ বছর পূর্বে ১৯৯৭ সালে ৭ মার্চ তাঁকে ‘সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতন স্বর্ণ পদকে’ ভূষিত করে ছিলাম আমরা।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, নূরুল হক ভুইয়া রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন এটি আমার জানা ছিলনা। আমি এ ভাষা সৈনিকের নামে সড়কের নামকরন করা ও কবর সংরক্ষনসহ প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহন করবো।

ভাষা সৈনিক আহমদ রফিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তমদ্দুন মজলিশের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালে ‘অধ্যাপক নূরুল হক ভূঁইয়াকে’ আহ্বায়ক করে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। তাছাড়া নূরুল হক তমদ্দুন মজলিশের প্রতিষ্ঠাতা সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। নূরুল হক ভূঁইয়ার স্মৃতি রক্ষার ব্যপারে তিনি বলেন, আসলে ভাষা সৈনিকদের অবদানের জন্য সড়কের নামকরন কিংবা মরনোত্তর একুশে পদক দেয়া এগুলো সরকারের কাজ। সরকার চাইলে ভাষা সৈনিকদের সম্মানীত করতে পারেন। এবং এটা করা উচিত।


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution